শনিবার, ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৪৭ পূর্বাহ্ন
তরফ নিউজ ডেস্ক: বেসামরিক প্রশাসন নির্বাচনসহ যেকোনো প্রয়োজনে ডাকলে সেনাবাহিনী সহযোগিতা করবে বলে জানিয়েছেন সেনাপ্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেছেন, সামরিক প্রশাসনের সঙ্গে বেসামরিক প্রশাসন মিলে কাজ না করলে সোনার বাংলা গড়ার অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানো যাবে না।
রাজধানীর ওসমানী মিলনায়তনে বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রশাসক সম্মেলনের তৃতীয় দিনের প্রথম অধিবেশনে অংশগ্রহণ শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
সেনাপ্রধান বলেন, বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে একত্রে কাজ না করলে অভিষ্ঠ লক্ষ্যে পৌঁছানো যায় না। তাই প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর মধ্যকার দূরত্বের সঙ্গে যতো গ্যাপ কমানো যায় সে বিষয়ে প্রস্তাব করেছি। যতো যোগাযোগ বাড়বে ততো ভালো। যদি যোগাযোগ কম থাকে তাহলে গ্যাপ হয়ে যায় কাজ করতে।
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের প্রচলিত যে দায়িত্বগুলো পালন করে সেগুলো পালনের ক্ষেত্রে বেসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
সহযোগিতার ক্ষেত্রগুলো নিয়ে ডিসিদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমরা ক্ষেত্রগুলো আলোচনা করলাম। আমরা সবাই একমত হয়েছি যে, এটার (যোগাযোগ বৃদ্ধি) কোনো বিকল্প নেই। আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। বর্তমানে আমাদের অত্যন্ত সুসম্পর্ক রয়েছে। বেসামরিক প্রশাসনের সঙ্গে আমরা এটাকে ক্যাপিটালাইজড করে আরও এগিয়ে যেতে চাই।’
নির্বাচনকালীন সময়ে সেনা মোতায়েন নিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী সব সময় প্রতিরক্ষার কাজ করে। বেসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে সরকারের নির্দেশনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্ব পালন করতে পারবে, আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেব। অবশ্যই তাদের পাশে বসে আমাদের দায়িত্ব পালন করব।’
‘আমরা যে ক্ষেত্রগুলো নিয়ে কাজ করি তার মধ্যে প্রথম দায়িত্ব হলো— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা। দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি ইন-এইড টু সিভিল পাওয়ারে আমরা নেশন বিল্ডিং একটিভিটিজ করি, ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্টের কাজ করি। আমরা ল’ ইনফোর্সমেন্টকে সহায়তা করি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামেও একটা বিশেষ ধরনের দায়িত্বপালন করছি। আমরা এফডিএমএন ক্যাম্পে কক্সবাজারে দায়িত্বপালন করছি। আমরা কনস্টিটিউশনের মধ্যে থেকেই বিদেশেও দায়িত্বপালন করছি। কুয়েতে সেনাবাহিনীর ব্যাপক-সংখ্যক সেনাসদস্য কাজ করে। দেশের জন্য অনেক বিদেশি মুদ্রা নিয়ে আসছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশ্বে এক নম্বর শান্তিরক্ষী পাঠানো দেশ হিসেবে জাতিসংঘে স্বীকৃত। এসব কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে আমরা দেখেছি, অসামরিক প্রশাসনের সহায়তা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বেসামরিক প্রশাসন যখনই মনে করবে যে, সরকারের নির্দেশনায় সেনাবাহিনী তাদের পাশে দাঁড়িয়ে দায়িত্বপালন করতে পারবে, আমরা তখনই তাদের ডাকে সাড়া দেবো।